সোমবার (১৮ মার্চ) অরিত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিরা আদালতে হাজিরা দিলেও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে অ্যাডভোকেট বাহাউদ্দিনের মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন পান।
গত ৫ ডিসেম্বর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে পুলিশ গ্রেফতার করে, ১০ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
গত ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল রয়েছে, এমন অভিযোগে পরদিন অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে নিয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অসম্মান করেন। পর দিন মেয়ের ছাড়পত্র নিয়ে যেতে বলেন অরিত্রীর বাবাকে।
বিষয়টি নিয়ে পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। অপমানিত হয়ে অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে তার কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কমিটি তিনজনকেই অব্যাহতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ