রোববার (১৯ মে) অ্যাকর্ডের আবেদন নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশি কারখানা পরিদর্শনে ইউরোপীয় ২২৮টি ক্রেতার সমন্বয়ে গঠিত জোট হচ্ছে ‘অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ’।
এসব ক্রেতা ও ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে, এমন এক হাজার ৬০০ কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এখন সংস্কার কাজ তদারক করছে। ২০১৮ সালের জুনের পর তাদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা। এরমধ্যে ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে তারা আরও তিন বছর সময় বাড়িয়ে নেন।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই সময়ে রিট করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়াকার্স এমপ্লয়িজ লীগের পক্ষে সভাপতি লিমা ফেরদৌস। ওই বছরের ১৫ অক্টোবর রিটের শুনানি নিয়ে সময় তিন বছর বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ওই আদেশের পর বিজিএমইএ’র আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম বলেছিলেন, সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের অনুমোদন না দিয়ে অ্যাকর্ড ২০১৭ সালের ২১ জুন তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ তিন বছর বাড়ায়। এ বিরুদ্ধে রিট আবেদনের পর আদালত রুলসহ তিন বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ২০১৮ সালের ১৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন। রুলে সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের অনুমোদন না নিয়ে মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে অ্যাকর্ড। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এরমধ্যে কয়েক দফা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে অ্যাকর্ড তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
রোববার আদালতে অ্যাকর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এস সালাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। বিজিএমইএ’র আইনজীবী ছিলেন ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
পরে ইমতিযাজ মইনুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে আপিল বিভাগে করা অ্যাকর্ডের আবেদন নিষ্পত্তি করে ২৮১ কর্মদিবস কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। । গত ৮ মে বিজিএমইএ ও অ্যাকর্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। এখন অ্যাকর্ড আর বিজিএমই যৌথভাবে কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিকের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। ২৮১ দিন পর অ্যাকর্ড সব বুঝিয়ে দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
ইএস/জেডএস