বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলুল হক।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রেদোয়ান আহমদ।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, হাইকোর্টের জামিনের রুল শুনানি শেষে আজ তা ডিসচার্জ (খারিজ) হয়। ফলে তার এখন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তিনি এজাহার থেকে উল্লেখ করে বলেন, সৈয়দ মুজাফফর হোসেন আই জি নেভিগেশনের পরিচালক হিসেবে বেসিক ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে জাহাজ আমদানির জন্য একটি পুরনো জাহাজ, যার আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা, কিন্তু তা অতি মূল্যায়ন করে ৭৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩২০ টাকা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঋণ গ্রহণ করেন। পরে তা সুদ-আসল মিলিয়ে ১৪১ কোটি ৫ লাখ ৪৬ হাজার ১০৫ টাকা হয়। এই টাকা আসামি পরিশোধ না করায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানার মামলা করেন।
ওই মামলায় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন তিনি। ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করলে চেম্বার জজ তার জামিন বহাল রেখে এক মাসের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন, অন্যথায় তার জামিন বাতিল হবে। কিন্তু আসামিপক্ষ চেম্বার জজ আদালতের উপরোক্ত শর্ত পালন না করায় আপিল বিভাগ তার জামিন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই তার জামিন বাতিল করেছিলেন।
এর মধ্যে হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তা আদালত খারিজ করে দেন বলে জানান এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
ইএস/জেডএস