বুধবার (২৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ কথা বলেন। তিনি মনে করেন জঙ্গিবাদ নির্মূলে একটি সামাজিক আন্দোলন দরকার।
মাহবুবে আলম বলেন, এই মামলার থেকে আমাদের দেশ যে জঙ্গিবাদ উৎপাটনের ক্ষেত্রে আন্তরিক এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সক্ষম এটি প্রমাণ হচ্ছে। এ ঘটনাটি আমাদের দেশের ভাবমূর্তি অনেকটা ম্লান করেছিলো। এ রায়ের ফলে আমাদের সে ভাবমূর্তি, আমাদের দেশে আইনের শাসন জঙ্গিবাদ নির্মূলে আমাদের সরকারের যে তৎপরতা এটি প্রমাণিত হয়েছে।
মামলার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ রায়ের পরে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য) হিসাবে মামলাটি হাইকোর্টে আসবে। তখন আমরা আমাদের সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে এ মামলাটি পরিচালনা করার চেষ্টা করবো। যাতে জঙ্গিবাদের ব্যাপারে আদালত যে রায় দিয়েছেন, সে রায়টি যাতে বহাল থাকে।
জঙ্গিবাদের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, অন্যান্য যারা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে এটা তাদের কাছে একটা ম্যাসেজ যাতে যায়। দুঃখজনক ব্যাপার যারা বিত্তবান ঘরের ছেলে তারাই ভালো স্কুলে পড়াশোনা করছে তারাই এসব জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত যাচ্ছে। আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে সবগুলো স্কুল সরকারি, বেসরকারি, ইংরেজি মাধ্যম, মাদরাসায় সব জায়গায় অন্ততপক্ষে জঙ্গিবাদের প্রতি কোনোরকম যাতে শিক্ষা না দেওয়া হয়, কোনোরকম আকৃষ্ট করা না হয়, উৎসাহিত করা না হয়, এ ব্যাপারে আমাদের সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা মামলায় আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বেকসুর খালাস পেয়েছেন একজন।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
ইএস/জেডএস