হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান ছাড়া অন্যরা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন । রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) এ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চার নেতাকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
মির্জা ফখরুল ছাড়া অন্যরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে বিএনপি নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। এরপর পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ায় নেতাকর্মীরা পালানোর সময় রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ঘটনার দিনগত রাতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি (নম্বর ৩২) দায়ের করে।
পরে এ মামলায় ২৭ নভেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেফতার করা হয়।
২৭ নভেম্বর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (নভেম্বর) পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এ মামলায় ২৮ নভেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবশ্য ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তাদের নিম্ন আদালত জামিন দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
ইএস/এমএ