বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি করেন।
তার আইনজীবীরা আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক কারণে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন যেহেতু নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে এবং সরকারদলের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়েছে তাই তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেছে। আমরা মনে করি রিমান্ড আবেদনের আর কোনো প্রয়োজন নেই।
এরপর বিচারক নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে খাসকামরায় চলে যান। পর্যালোচনা শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে আরিফকে এজলাসকক্ষ থেকে বের করে নেওয়ার সময় কয়েকজন সংবাদকর্মী ছবি তুলতে ও চিত্রধারণ করতে যান। তখন আরিফ ও তার স্ত্রী উদ্ধত আচরণ করেন। এসময় একজন চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরা ধরেও টান দেন তিনি।
গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে হওয়া মামলায় আরিফুলকে ৩১ জানুয়ারি আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের পরিদর্শক আব্দুল হক। সেদিনই রিমান্ড শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন।
তবে ২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ডাকা হরতালের কারণে আরিফুলকে আদালতে হাজির না করায় রিমান্ড শুনানি হয়নি। সেদিন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফ রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেন।
পুলিশ বলছে, ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস এই আরিফুল। তবে ইশরাকের দাবি, তার কোনো পিএস নেই।
গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই সংঘর্ষে এক সংবাদকর্মীসহ ডজনখানেক লোক আহত হন। সে সময় গুলির শব্দও শোনা যায়। ওই ঘটনায় ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আহমেদ।
গ্রেফতারের পর গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, গ্রেফতার আরিফুল ইসলাম (৪৭) ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা। তিনি নিজেকে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস বলে পরিচয় দিতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
কেআই/এএ