সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলা দুটি ঢাকার আট নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। ওই আদালতে মামলার শুনানির জন্য ২৩ মার্চ দিনও ধার্য করে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর খালেদ ও ২৩ নভেম্বর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে এই দুটি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর মামলা দুটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়ে আসে।
এরপর ২০ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করে র্যাব। ওই অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার বেশি এফডিআর পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা শামীমের নামে। একইসঙ্গে পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।
পরদিন শামীম ও তার দেহরক্ষীদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব। এর মধ্যে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলাও হয়েছে।
অপরদিকে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থেকে ক্লাবের সভাপতি খালেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র (এর মধ্যে একটি অবৈধ), গুলি এবং ইয়াবা জব্দ করা হয়। ক্যাসিনো থেকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক এবং ২৪ লাখ নগদ টাকা, বিদেশি মদ, ক্যাসিনো বোর্ড জব্দ করার পর খালেদকে গ্রেফতার করে।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তার নামে গুলশান ও মতিঝিল থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মোট চারটি মামলা করা হয়। পরে গত ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
কেআই/জেডএস