প্রতিবেদনের বিষয়ে বাদীপক্ষের মনোভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলানিউজকে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কাছে যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ ছিল সব আদালতের মাধ্যমে আমরা পিবিআইকে সরবরাহ করেছি।
‘এরপরও তদন্তে সেসব সাক্ষ্যপ্রমাণের প্রতিফলন ঘটেনি। সালমানের মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, আমরা এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করবো,’ বলেন তিনি।
নারাজি দেওয়া হলে পরবর্তীতে কোন ধরনের আইনি প্রক্রিয়ায় এই মামলা গড়াতে পারে? এ বিষয়ে ফারুক আহাম্মদ বলেন, প্রথমতঃ যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে সাক্ষ্যপ্রমাণের যেটুকু পর্যালোচনা আছে সে মর্মেই আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিতে পারেন। আদালত অন্য কোনো সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে পারেন অথবা ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশও দিতে পারেন।
শুধু প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু নয়, প্রতিবেদনের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে এজাহারকারীকে তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ (১) এর (খ) ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে প্রথমে সংবাদ দিয়েছিলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত উপায়ে তাহাকে নিজের গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করবেন। ’
পড়ুন>>সালমান শাহর মৃত্যু: পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আদালতে
তিনি বলেন, ‘সালমানের মা নীলা চৌধুরী বলেছেন- পিবিআইয়ের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে তাকে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। আইনজীবী হিসেবে আমিও কিছু জানি না। যেটুকু আমরা জেনেছি মিডিয়ার সংবাদ থেকেই। তাই এই প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। ’
সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন-মর্মে পিবিআইয়ের প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতে জমা পড়ে। এদিন সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালতের ডেসপাচ শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
পরে আদালতের নন-জিআর শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার ‘দেখিলাম’ মর্মে স্বাক্ষরের জন্য প্রতিবেদনটি মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহর আদালতে উপস্থাপন করা হবে। তবে প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে এই মামলার নির্ধারিত তারিখ ৩০ মার্চ শুনানি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
কেআই/এমএ