মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তারা। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রায় পৌনে সাত কোটি টাকা পাচার করে লন্ডনে দুটি ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগে চলতি বছর ৯ জানুয়ারি নাজমুল হুদার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।
মামলার পর ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান তারা। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।
জামিন আবেদনের পক্ষে এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন-নাজমুল হুদার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা এবং দুই মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদা। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে প্রায় পৌনে সাত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড স্টার্লিং এর সমান অর্থাৎ চার কোটি ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন। এ অর্থ দিয়ে লন্ডনের ওয়াটার গার্ডেনসের বারউড প্যালেসে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অন্তরা ও তার মা সিগমা হুদা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে, সেই অর্থ বিদেশে পাচার করে ২০০৩ সালের ২৬ জুন বারউড প্যালেসের ফ্ল্যাটটি কিনেছেন।
সিগমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদার বিরুদ্ধে অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, তারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত দুই লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড স্টার্লিং (দুই কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা) সম্পদ অর্জন করে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন। ওই অর্থে ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তারা লন্ডনের হেলনি কোর্টের ডেনহাম রোডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে মামলায় বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
কেআই/এইচএডি/