রোববার (১০ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মাদক বিক্রেতারা হলেন-রিদোয়ান, আবুল কালাম আজাদ, মো. বাচ্চু মিয়া, পিকআপের চালক আনিছুর মণ্ডল ও আব্দুল লতিফ।
শনিবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই শহিদুল ইসলাম।
অপরদিকে, আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তাদের আটকের বিষয়ে র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, জয়পুরহাট সীমান্ত এলাকা থেকে পণ্য পরিবহনের আড়ালে তারা মাদকের এ চালান রাজধানীতে নিয়ে আসতো। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট এলাকায় অবস্থান দেয় র্যাব সদস্যরা। মার্কেটের উত্তর পাশে আলুভর্তি একটি পিকআপ থামলে তাদের ঘেরাও করা হয়। এ সময় চালক বাদে বাকি চারজনের কাঁধে থাকা ব্যাগ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গাড়ির ইঞ্জিন কাভারের ভেতরে গোপন চেম্বারে আরও ফেনসিডিল আছে বলে জানায়। পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। সবমিলিয়ে পাঁচ শতাধিক ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
জিজ্ঞাসাবাদে মাদক বিক্রেতারা জানিয়েছে, পণ্য পরিবহনের আড়ালে তারা সীমান্ত জেলা থেকে মাদকের চালান রাজধানীতে এনে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতো। বাড়তি উপার্জনের জন্য তারা এ পেশায় জড়িত ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
কেআই/ওএইচ/