বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল কাইয়ূম।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) আব্দুল কাইয়ূম জানান, লালমুক্তি বার্তায় নাম থাকা হাবিলদার আবু তাহের ২০০৩ সালের ৬ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ পান। এছাড়া ২০১০ সালে ৩১ মার্চ জারি করা বিজিবি গেজেটেও তার নাম আছে। দুই নম্বর সেক্টরের অধীনের এ মুক্তিযোদ্ধা গত ১৩ মেও সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিলেন। কিন্তু ৭ জুন জারি করা বাতিলের গেজেটে ১১৩৪ জনের মধ্যে তার নামও আছে। তার সিরিয়াল নম্বর ৮০০। ওই গেজেট তাদের সনদ বাতিল করা হয়। এটা আইনসম্মত না হওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। বুধবার (১৭ জুন) তার ক্ষেত্রে ৭ জুনের গেজেট স্থগিত করেছেন।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক, উপ-সচিব (গেজেট) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
৭ জুন ১১৩৪ জন বিজিবি সদস্যের গেজেট বাতিল করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১ এর তালিকা ৪১-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ১১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ইএস/আরবি/