মঙ্গলবার (৩০ জুন) নিজ বাস ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান। সুপ্রিম কোর্ট আইজীবী সমিতির সাবেক এ সভাপতির মতে, ভার্চ্যুয়াল আদালত একটি অতি জরুরি বিধান, এটা দীর্ঘ সময় চলতে পারে না।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে গত ২৬ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এজন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওইদিন প্রথমবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।
এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
২ দিন পর ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
পরে ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর (ফুলকোর্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি চেম্বার কোর্ট এবং হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকটি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া অধস্তন আদালতেও বিচারকাজ (জামিন শুনানি) চালাতে নির্দেশ দেন। সেই থেকে ভার্চ্যুয়াল আদালতে বিচারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ভার্চ্যুয়াল কোর্টে আগাম জামিনের ক্ষেত্রে কোনো সুযোগ না থাকায় দেশের সর্বত্র প্রতিদিন যে শত শত মামলা দায়ের হয়, যার বেশির ভাগই আক্রোশমূলক, সেই সব মামলার আসামিরা গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরছাড়া হয়, নতুবা অনৈতিক পদ্ধতিতে গ্রেফতার না হওয়ার ব্যবস্থা করতে চরম হয়রানির সম্মুখীন হয়।
তিনি বলেন, সরকারি ও আধা সরকারিসহ সব প্রতিষ্ঠানে সীমিত আকারে কার্যক্রম চলছে। সেক্ষেত্রে দেশের বিচারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে না দিয়ে একদিকে বিচারপ্রার্থী ও অপরদিকে আইনজীবীরা সংকটে পড়েছেন। তাই অবিলম্বে সুরক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানাচ্ছি। কেননা ভার্চ্যুয়াল আদালত একটি অতি জরুরি বিধান, এটা দীর্ঘ সময় চলতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
ইএস/এএ