ঢাকা: বাংলাদেশে পড়াশোনার মান নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে তারা ভলান্টিয়ার সার্ভিস দিন, সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কিছু করুন, শিক্ষা দিন। তারপর কথা বলুন।
প্রধানমন্ত্রী সমালোচকদের কাছে এও প্রশ্ন রাখেন, শিক্ষার মানের মাত্রাটা আসলে কী?
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্নস্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি একদিনে সব হয়ে যায় না। সেজন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা চাই সব ছেলে-মেয়ে পরীক্ষা দেবে, এ জন্যই পঞ্চম-অষ্টমের পরীক্ষা ব্যবস্থা। অথচ এই দুই পরীক্ষা নিয়েও অনেকে কথা বলেন।
পিইসি-জেএসসির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি কমছে মত দিয়ে তিনি বলেন, এতে করে তাদের মধ্যে সাহস জন্মাচ্ছে। দিন দিন রেজাল্টও ভালো হচ্ছে, পাসের হারও বাড়ছে।
‘একটা সময় ছিল যখন ক্লাস থেকে কিছু ছেলে-মেয়ে বেছে, তাদের প্রস্তুত করা হতো বৃত্তির জন্য। তাদের ভালো টিফিন দেওয়া হতো, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা সেটি পেতো না। বৃত্তির জন্য শিক্ষকরা যাদের বাছলেন না, তাদের মধ্যেও তো মেধাবী থাকতে পারে। কেউ বৃত্তি পাবে, বাকিরা বঞ্চিত থাকবে- এই পদ্ধতি ঠিক করতেই পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
***পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এমইউএম/আইএ