ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আ’লীগই পারবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
আ’লীগই পারবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা থেকে শুরু করে এ দেশের যত উল্লেখযোগ্য অর্জন, তার সবগুলো এনেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিনি এ ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। জাতির পিতা আমাদের মাথা নত না করতে শিখিয়েছেন। আমরা সব বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবো।

আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যদা অর্জন করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন- দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত করি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, সুন্দর এবং বাসযোগ্য বাংলাদেশ উপহার দেই।

রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির গঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপর আস্থা রাখবেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিবেন এবং দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চলতি মেয়াদের তিন বছর অতিক্রম করলাম। আমাদের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।  

তিনি এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, পঞ্চদশ সংশোধনী ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির নির্বাচন বর্জনের কথা তুলে ধরেন।  তুলে ধরেন বিএনপির নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনে পেট্রোল বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতার কথাও।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯২ দিন পার্টি কার্যালয়ে আরাম-আয়েশে অবস্থান করে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আন্দোলনের নামে বিএনপি নেত্রী আবার জ্বালাও-পোড়াও-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উসকে দেন।  

“এ তিন মাসে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে ২৩১ জন নিরীহ মানুষ নিহত এবং ১ হাজার ১৮০ জন আহত হন। তারা ২ হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেল গাড়ি ও ৮টি লঞ্চে আগুন দেয়। ৭০টি সরকারি অফিস ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং ৬টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ”

দেশবাসী তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না।  

“রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে গঠিত নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখবেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন। ”

ভাষণের শুরুতেই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। স্মরণ করেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হতাহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এটি/এইচএ

আরও পড়ুন
** আ’লীগই পারবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে
** আ’লীগই পারবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে

** সব দরিদ্র পরিবার পাবে স্বাস্থ্যকার্ড
** প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
** সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আরও ১৪২টি কর্মসূচি
** অগ্রগতির সূচকে শীর্ষ ৫ দেশের একটি বাংলাদেশ
** প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি কিনা, সে ভার আপনাদের ওপর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।