তাই স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের সাধ মেটাতে এ মাছ কিনে থাকেন। আর তুলনামূলকভাবে যাদের অবস্থা একটু ভালো তারা সহজেই এ মাছ কিনে থাকেন।
কিন্তু এ-সুযোগে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী বিষাক্ত উপাদান মেশাচ্ছে। প্রতারণায় এবার যুক্ত হয়েছে চিংড়ি মাছে জেলি ইনজেক্ট করা। সাভার, আশুলিয়া, আমিনবাজার, বাইপাইলসহ আশপাশের মাছের বাজারগুলোতে এ-মাছ আসছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন চিংড়িঘের থেকে।
সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড, আশুলিয়ার বাইপাইলে প্রতিদিন ভোরে যে চিংড়ি আসে সেগুলো জেলি ইনজেক্ট করা। কেজি প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। আবার কখনো বাজার বুঝে কম বা বেশিও হয়ে থাকে।
সাধারণ ক্রেতাসহ নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকেরা এসব মাছ কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।
মো. রুবেল হোসেন নামের একজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘চিংড়ি মাছে জেলি ইনজেক্ট করার পর তা আকারে ছোট থেকে বেশ বড় হয়ে যায়। ওজনেও বেড়ে যায় প্রায় কয়েক গুণ। এসব মাছ রান্না করার পর আবার ছোট আকারের হয়ে যায়। আমি বেশ কয়েকবার এসব মাছ কিনে প্রতারিত হয়েছি। ’
এর ফলে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। ক্যানসারের মতো রোগ্ও এ কারণে হতে পারে। এ যেন টাকা দিয়ে মৃত্যু কেনা
সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের মাছের দোকানের একজন কর্মচারি খোকন। তিনি বলেন, ‘আমরা তো আর মাছে এসব জিনিস দেই না। আমরা যেমনে কিনি তেমনেই বেচি। খুলনা থেকে মাল আমাগো কাছে আসে আমরা খুচরা বেচি। ’
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ফারহানা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করি। জেলি মিশানো চিংড়ি মাছ, জাটকা মাছ, রাক্ষুসে মাছসহ নিষিদ্ধ মাছ বিক্রেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। এসব বিষাক্ত জেলি মেশানো চিংড়ি থেকে ক্যানসারসহ কিডনির কঠিন রোগ হতে পারে।
এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সাভার উপজেলা প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো.আমজাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘চিংড়িতে ব্যবহৃত এসকল জেলি জীবননাশী। এগুলো মানুষের চোথ নষ্ট করে দিতে পারে, কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। ধীরে ধীরে মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে থাকে নিজেরই অজান্তে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
জেএম