শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সাভার বাজার বাসস্ট্যাডের মাছের বাজারে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেলো।
কয়েক দিন আগেও যেখানে প্রতিদিন সাভার বাজারে দেদারসে বিক্রি হতো কয়েক মণ চিংড়ি, সেখানে দিনে দশ কেজি চিংড়িও বিক্রি হচ্ছে না।
শাহীন নামে এক বিক্রেতা বলেন, এখন চিংড়ি কিছুটা কম বিক্রি হচ্ছে। আগের থেকে তুলনামূলকভাবে বাজারে চিংড়ির যোগান কম। আমরাও কম কম করে চিংড়ি এনে বিক্রি করি।
কেউ কেউ আবার বাজারে এসে উৎসাহ নিয়ে মাছের বাজারে দেখতে আসছেন জেলি চিংড়ি কিনা? জেলি চিংড়ি দেখতে কেমন? কেমন করে জেলি ভরে? জেলি খেলে কী হয় ইত্যাদি। ক্রেতাদের এমন সব প্রশ্ন আর আচরণে অনেকটাই বিরক্ত চিংড়ি বিক্রেতারা।
কিছু দোকানে জেলি ছাড়া ভালো চিংড়ি বিক্রি হতেও দেখা যায় তবে দাম খানিকটা বেশি। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এগুলো তো জেলি চিংড়ি না, আসল চিংড়ি। জানালেন, চিংড়ি বিক্রেতা হাইদুল ও দীলিপ।
অনেকটা অভিযোগের সুরে একজন বিক্রেতাকে বলতে শোনা গেলো, এগো লেইগাই দোকান্দারেরা জেলি চিংড়ি ব্যাচে। দামে কম পায় তাই হেইডি কিনে আর আসল চিংড়ির ন্যায্য দাম চাইলে মুখ ঘুরায়া যায়গা।
বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় শরিফুল ইসলাম (স্বপন) নামে এক চিংড়ি ক্রেতার। জেলি চিংড়ি চেনার উপায় হিসেবে বলেন, জেলি চিংড়ির মাথার কাছে ভাঙলে এর উপরিভাগে নরম একটি আলগা আবরণ দেখা যায়। সেটা শক্ত কোনো কিছু দিয়ে খোঁচা দিলে বের হয়ে আসে। যা অনায়াসে মানুষের চোখ কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। ক্যানসার হয়ে কেড়ে নিতে পারে মানুষের মূল্যবান প্রাণ।
তবে সবকিছুর পরও খানিকটা খুশি দেখা গেলো আসল চিংড়ি বিক্রেতাদের মাঝে। তারা বলেন, এখন ভালো হইছে জেলি চিংড়ি আসে না। আমরা অরজিনাল মাছ বেচি, ভালো দাম পাই। খামোখা জেলি বেইচা মানুষের ক্ষতি করমু ক্যান, আর জেলই-বা খাটমু ক্যান!
** ‘৬শ’র মাল সাড়ে ৩শ’তে লইবেন, জেলি তো থাকবোই’
** সব বাজারেই জেলি চিংড়ি!
** কাপড়ের বিষাক্ত নীলে চকচকে চিংড়ি
** শক্ত খোলসেই পোয়াবারো চিংড়ি ভেজালিদের
** চিংড়ি ভীতিতে ক্রেতা-ভোক্তা!
** চিংড়িতে জেলি আতঙ্কে মাছ ব্যবসায়ীরাও
** কিভাবে কী মেশে চিংড়িতে
** এ যেন টাকা দিয়ে মৃত্যু কেনা !
** মোসলেম চেনালেন ভেজাল চিংড়ি
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
এসএনএস