পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রশ্নপত্র প্রথমে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হলে ওইসব কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা সঙ্গে সঙ্গে স্নাপশটের (স্মার্টফোন লক থাকলেও ছবি তোলার অ্যাপ্লিকেশন) মাধ্যমে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নপত্র তাদের গোপন ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সব মেম্বারের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তার আগে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই আটজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- লিটন ওরফে আকাশ, রুমন ওরফে মাহির, হিমেল ওরফে আহমেদ আবির, আরিফ, অন্তর, রাজিব, জহির ওরফে শুভ ও রফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম কমলাপুর শের-ই-বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকও। তার সহায়তায় আটক বাকিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজ করতেন।
যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, আটক আটজনের কাছে যে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, বিজি প্রেস, বোর্ড এবং পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকে। এজন্য বিজি প্রেস থেকে ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগেও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল।
এ আটজনকে ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কুষ্টিয়া জেলা থেকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান আবদুল বাতেন।
**এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আটক ৮
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭
আরএটি/এএটি/এইচএ/