শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্তানকে কেবল শাসন করলে হবে না।
‘ছেলে-মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে, সে বিষয়ে মায়েদের খোঁজ রাখতে হবে। সন্তানদের জন্য সবচেয়ে বড় বন্ধু হবেন মা। ’
প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেন, বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে মা-বাবাকে। কোনো কথা বলার দরকার পড়লে ছেলে-মেয়ে যেন আগে মাকে বলে। সে রকম পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সন্তান সবসময় যা চায় তাকে তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও মা-বাবাকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেরা যা চায়, অনেক সময় তাকে তা-ই কিনে দেওয়া হয়। দেখা যায়, সেসব ছেলেরাই পরে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ে।
‘আমি চাই মায়েরা সবচেয়ে বেশি নিজের সন্তানদের প্রতি নজর দেবেন। সেটাই আমি প্রত্যাশা করি। ’
বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধসহ সবরকমের আন্দোলন-সংগ্রামে নারীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, সবসময় বাবার (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পাশে থেকে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রেখেছেন মা (বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরে ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন বাংলাদেশের মানুষের ওপর পাশবিক অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল, তেমনি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াতও এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে।
‘১০ বছরের শিশু থেকে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ, কেউ রেহাই পায়নি তাদের নির্যাতন থেকে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে তারা নির্যাতন চালিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
টিআই/এইচএ/
আরও পড়ুন
** ‘দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নির্যাতন করেছে বিএনপি-জামায়াত’