সংকুচিত মহানন্দার স্বচ্ছ জলরাশির ওপর দু’বছর আগে নির্মিত ৫৪৬ মিটার দীর্ঘ ঝকঝকে-তকতকে দ্বিতীয় মহানন্দা বা শেখ হাসিনা সেতু পেরিয়ে খানাখন্দহীন পিচঢালা রাস্তার দু’পাশে কেবল আমের বাগান। গোপাল ভোগ, খিরসাপাত, হীমসাগর, ল্যাংড়া, গৃহাদাগী, ফজলি, আম রূপালী, বোম্বায় গুটি, হাড়িভাঙ্গা।
তেররশিয়ায় কাজ শেষে ফের ফেরার পথে শেখ হাসিনা সেতুর শহরমুখী প্রান্তে নেমে খানিকটা হাঁটাহাঁটি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক উৎসাহ বোঝার চেষ্টা। চা দোকানে ঢুঁ মেরে দেখা গেল, আপাতত বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচ নিয়েই আগ্রহ সবার। পাশে এক জেলে বড় একটা আইড় মাছ আর কিছু শিং ধরে ডালা সাজিয়ে বসেছেন, খানিক আগ্রহ সেখানেও।
অগত্যা আবার ধরতে হলো ফেরার পথ। ক্যাপটা থাকার কারণে মাথায় রোদটা সরাসরি পড়ছিল না, কিন্তু শরীরে ঠিকই আঁচ লাগছিলো। কাউকে কাউকে ছাতা মাথায় চলতে দেখে সে আঁচ যেন পারদের মতো বাড়ছিল।
তবে গরমটা বেশি বেড়ে গেল যেন সামনে এগিয়ে একটা তৃষ্ণার্ত কাক দেখে। এতো তৃষ্ণা, কাকটা নেমে গেছে রাস্তায় জমে যাওয়া পানিতে। দূর থেকে একটা টমটম আসতে দেখেও ঠোঁট ভেজাচ্ছিল বারবার। আগন্তুক বেশি কাছে না ঘেঁষেই স্মার্টফোনের ক্যামেরা তাক করলো। বেশি কাছে ঘেঁষলে যদি আবার তৃষ্ণা না মিটিয়েই উড়াল দেয় কাক! একেবারে কাছে চলে এলো টমটম, উড়ে গেল কাক। আগন্তুক ধরলো শহরের পথ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এইচএ/জেডএম