ইসি সূত্র জানিয়েছে, ২০১১ সালে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর অ্যানহেন্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিস (আইডিইএ)’ বা স্মার্টকার্ড প্রকল্পের বিপরীতে ১৭০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার চুক্তি করে দাতা সংস্থাটি। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর।
কয়েক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর এবার আর বাড়ছে না। ফলে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া অর্থের পুরোটা ব্যবহৃত না হলে অবশিষ্ট টাকা ফেরত যাবে।
তাই নতুন ভোটারদের স্মার্টকার্ড সরবরাহে নতুন দাতা সংস্থার দ্বারস্থ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি’র সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছে আমাদের প্রস্তাব থাকছে, আইডিইএ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর। যদি তারা না বাড়ায়, তবে এটি আগামী ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে। কিন্তু এনআইডি সেবা তো অব্যাহত রাখতে হবে। তাই ইউএনডিপি ও তার সহযোগী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরের জন্য আরেকটি চুক্তি করতে চাই। এতে আরও দুই-আড়াই কোটি ভোটারকে আমরা স্মার্টকার্ড দিতে পারবো’।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২০ জুন) ইউএনডিপি ও তার সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠক রয়েছে। বেলা ১১টায় ইসি’র সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের কার্যপত্রে স্মার্টকার্ড ছাড়াও আলোচনার বিষয় হিসেবে রয়েছে জাতীয় নির্বাচনে সহায়তাও। এক্ষেত্রে ইউএনডিপি’র কাছে ১০ ধরনের সহায়তা চায় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে ভোটদানের গোপন স্মার্টকক্ষ, স্মার্ট সিল, স্মার্ট কালি, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ইত্যাদি।
ইসি’র সচিব আব্দুল্লাহ্ বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। মঙ্গলবার সে আলোচনাকে আরো এগিয়ে নেওয়া হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর
** স্মার্টকার্ড প্রকল্পের অর্থ ফেরত যাওয়ার শঙ্কা