সোমবার (০৩ জুলাই) সকালে ফরহাদ মজহারকে আদাবরের নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, ফরহাদ মজহার বাসা থেকে বের হওয়ার পর যে নম্বর দিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন সেই নম্বরটি ট্র্যাকিং করে দেখা গেছে, গাবতলী, পাটুরিয়া ফেরিঘাট পার হয়ে বর্তমানে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে।
তবে, ফরহাদ মজহারকে একদিকে নিয়ে নম্বরটি অন্য দিকে নেওয়া হচ্ছে কি না সেই বিষয়টিও মাথায় রেখেই পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ফরহাদ মজহার সাহেবের নম্বরটি ট্র্যাকিং করে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান আমরা দেখতে পেরেছি। তাকে খুঁজে পেতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী আদাবর থানায় একটি জিডি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। জিডি নং-১০১।
ফরহাদ মজহারের আত্মীয় মুস্তাইন জহির বাংলানিউজকে বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে কেউ তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। তার ব্যবহৃত দুটি নম্বরের একটি তিনি সাথে নিয়েছিলেন। সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ভয়ার্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে ওরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আমাকে ওরা মেরে ফেলবে’। পরে একাধিকবার চেষ্টা করে ওই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সাড়ে ছয়টার দিকে একই নম্বর থেকে ফোন দিয়ে কে বা কারা ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এর পর পর আবার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান মুস্তাইন জহির।
বাসার দারোয়ান মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, বাসার চতুর্থ তলার ৪/এবি ফ্ল্যাটে থাকতেন ফরহাদ মজহার। ভোর পাঁচার পরে লুঙ্গি-পাঞ্জাবি পরে লিফটে নিচে নেমে আসেন তিনি। এরপর আমরা গেইট খুলে দিলে তিনি বের হয়ে শ্যামলীর দিকে হেঁটে যান।
ফরহাদ মজহারের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি প্রতিদিনই তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে লেখালেখি করেন। আজও সাড়ে তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে কম্পিউটারে লেখালেখি করছিলেন। সাধারণত সকাল বেলা তিনি বের হন না। কিন্তু আজ কোনো একজনের ফোনে তিনি বাসা থেকে বের হলে তাকে অপহরণ করা হয়।
ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত কোনো পূর্বশত্রুতা নেই বলেও জানায় তার পরিবার।
ফরহাদ মাজহারের বাসা হক গার্ডেনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৫টা ০৫ মিনিটে তিনি লিফটে করে নিচে নেমে আসেন। তারপর এক দারোয়ান গেট খুলে দিলে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান।
আরও পড়ুন:
ফরহাদ মজহারকে অপহরণের অভিযোগ
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
পিএম/এমজেএফ