বার্ধক্যজনিত কারণে বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) ভোরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
হরিপদ কাপালী ১৯৯৯ সালে উদ্ভাবন করেন নতুন জাতের ধান। তার নামের সঙ্গে মিল রেখেই ওই ধানের নামকরণ করা হয় হরিধান। হরিধান একটি বিশেষ জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান। এ উদ্ভাবনের সূত্র ধরে সারাদেশে সুখ্যাতি পান তিনি। পেয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের পুরস্কার ও সম্মাননা।
জানা যায়, ১৯৯৯ সালে নিজের ধানের জমিতে একটি ছড়া খুঁজে পান হরিপদ কাপালী। ধানের গোছা বেশ মোটা ও পুষ্ট। এ ছড়াটি তিনি নজরদারিতে রাখেন। ধানের শীষ বের হলে তিনি দেখতে পান শীষগুলো অন্য ধানের চেয়ে দীর্ঘ এবং প্রতিটি বাইলে ধানের সংখ্যাও বেশি। ধান পাকলে তিনি আলাদা করে ওই ধানের বীজ রেখে দেন। পরের মৌসুমে এগুলো আলাদা করে আবাদ করে খুব ভালো ফলন পান তিনি। এভাবে তিনি ধানের আবাদ বাড়িয়ে চলেন। এভাবে নিজের অজান্তেই উদ্ভাবন করেন নতুন প্রজাতির ধান- হরিধান।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৭
এসআই