আক্রান্ত শিশু পল্লব নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের শ্রী সুরেশ সরদারের ছেলে।
পল্লবের স্বজনরা বলছেন, আজও শিশুটির রোগ শনাক্ত করতে পারেনি চিকিৎসকরা।
পল্লবের মা শ্রীমতি প্রার্থনা রানী জানান, গরমকালে শুধু ফাটা ফাটা ফোসকা এবং শীতকালে ফোসকার সঙ্গে আঠালযুক্ত পানি ঝড়ে। রোগের জ্বালা যন্ত্রণায় পল্লব সব সময় কান্নাকাটি ও ছটফট করে। বন্ধ থাকে তার চোখ-মুখ। চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ে। যন্ত্রনায় সে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া ও ঘুমাতে পারে না।
তিনি জানান, অভাবের সংসারে রোগাক্রান্ত একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছেন। অনাহারে দিন যাপন করে ছেলের চিকিৎসার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা।
তিনি আরও জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পল্লবকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ভিটামিন ও পুষ্টিযুক্ত খাবারের অভাবে এ রোগের উৎপত্তি হয়েছে বলে কিছু চিকিৎসা দেন। এতে পল্লবের কোনো উন্নতি হয়নি।
সরেজমিনে শিশু পল্লবকে দেখতে গেলে এলাকাবাসী জানান, পল্লবের পরিবার হতদরিদ্র মানুষ হওয়ায় স্থানীয়রা যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু সেই সহযোগিতা দিয়ে পল্লবের চিকিৎসার জন্য বেশি দূর যেতে পারছেন না তার পরিবার।
এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোজাফফর হোসেন জানান, পল্লবের বিষয়টি বিভিন্নভাবে জানার পর তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এরমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের উপর মহলের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। দ্রুত তার চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আক্রান্ত শিশু পল্লবের বাবা সুরেশ সরদার জানান, তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে গাড়ি চালকের চাকরি করেন। তারা বড়ই অসহায়। শিশুর যন্ত্রণা আর সইতে পারছে না তারা। তাই সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আকুতি জানিয়েছেন।
ছেলেকে বাঁচাতে সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন পল্লবের বাবা-মা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
এএটি/