আশকোনার হজ ক্যাম্পে আব্দুল বারি নামে এক হজযাত্রীর ফ্লাইট ছিলো ২৬ জুলাই। বার বার ফ্লাইট বাতিলের কারণে এখনও তিনি হজের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতে পারেননি।
গত ১০ দিন ধরে নানা রকম আশঙ্কায় দিন কাটছে আবদুল বারির। বাংলানিউজের কাছে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা তো টাকা সময় মতো দিয়েছি। ভিসাও পেয়েছি সময় মতো। তাহলে আমরা যেতে পারছি না কেন?
অন্যদিকে টাঙ্গাইল থেকে আসা হজযাত্রী আব্দুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিমানের অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এমনটা হয়েছে। নয়তো ভিসা জটিলতা হওয়ার কথা শুধু যারা দ্বিতীয় বা তার বেশিবার হজে যাচ্ছেন তাদের। সেই সংখ্যা মোট হজযাত্রীদের চার ভাগের একভাগও না। কিন্তু সবাইকে ভুগতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিমানের ১৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তাহলে বিমানের ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টরা কী করছেন?
শুধু তাই না একজন হজযাত্রীও যদি শেষ পর্যন্ত হজে যেতে ব্যর্থ হন তাহলে তার মাশুল গুণতে হবে বিমানকে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ হজযাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের।
তিনি বলেন, একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। কিন্তু বিমানের কোনো উদ্যোগ নেই। বিমানের অবহেলার কারণেই এমনটা হচ্ছে। এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। বিমান চাইলেই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারতো। যদি একজন হজযাত্রীও শেষ পর্যন্ত হজে যেতে ব্যর্থ হন তাহলে তার মাশুল গুণতে হবে বিমানকে।
শুক্রবার (০৪ আগস্ট) সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিমানের হজ ফ্লাইট আছে ৪টি। এর মধ্যে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটের ফ্লাইটটি ইতিমধ্যে বাতিল হয়েছে। ফ্লাইটটিতে মোট ৪১৯ জন যাত্রী যাওয়ার কথা ছিলো। তাছাড়া সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের ফ্লাইটটি হজ যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে জেদ্দার উদ্দেশে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
ইউএম/এমজেএফ