নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঈদের আগে দু’টি করে মোট ৬টি দলের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের পরে অবশিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে বসবে সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বলছে মোট ৪০টি দল নিবন্ধন নিয়েছে। এরমধ্যে সবার পরে রয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-বিএনএফ (টেলিভিশন)। তারপর বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি)। অর্থাৎ এই দু’টি দলের সঙ্গে সর্বপ্রথমে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন।
সূত্র জানিয়েছে, ২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) কিংবা ২৭ আগস্ট (রোববার) দলগুলোর সংঙ্গে সংলাপ শুরু করার কথা ভাবছে ইসি। এতে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ- বিএমএল (হাত-পাঞ্জা) ও খেলাফত মজলিসের (দেওয়াল ঘড়ি) সঙ্গে সংলাপ হবে। তৃতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির-জাগপা (হুক্কা) সংলাপ।
এ ছয়টি দলের সঙ্গে সংলাপ ঈদের আগেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর অন্য দগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ঈদের পরে বসবে কমিশন।
জাগপার আগে নিবন্ধন নিয়েছে যে দলগুলো তার ক্রমবিন্যাস হলো-বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিক্সা), ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার), ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন (চাবি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি-পিডিপি (বাঘ), গণফ্রন্ট (মাছ), গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুর গাছ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি (আম), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা)।
এই দলগুলোর আগে নিবন্ধন নিয়েছে-বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুরগাড়ি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মই), জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি (তারা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (মশাল), জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (কুঁড়েঘর), গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি (ধানের শীষ), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (নৌকা), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি (কাস্তে), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এম.এল (চাকা), জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইকেল) ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি (ছাতা)।
নিবন্ধনের ক্রমানুসারের শেষের দিক থেকে দলগুলোকে যেহেতু ডাকবে ইসি, সে কারণে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, সিপিবি রয়েছে শেষের সাতে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ বিএনপির পরে হচ্ছে।
তার আগে আগামী ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের সঙ্গেও মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদকদের তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া দুই ক্যাটাগরিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের ৩৮ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এতে তারা নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, নির্বাচনকালীন সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং না ভোটের পুনঃপ্রবর্তনের পরামর্শ দেন।
সংলাপের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-নির্বাচনী আইন সংস্কার, ভোটার তালিকার হালনাগাদ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ