ইলিশ পেয়ে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন জেলেরা। মাছঘাটগুলো সরগরম হয়ে উঠেছে।
তবে জেলেরা বলছেন, প্রত্যাশিত ইলিশ এখনো মিলছে না। এ ভরা মৌসুমে তারা ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ আশা করছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর মেঘনা উপকূলীয় উপজেলা। এ উপকূলে প্রায় ৬০ হাজার জেলের বাস। তারা নদীতে মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্ষার আগে (আষাঢ় মাসের আগে) এখানকার জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নেন। সব ঠিকঠাক করে নদীতে যান।
কিন্তু সাগরে যাওয়া জেলেরা পেলেও গত দুই মাস ধরে মেঘনায় জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়েনি। আষাঢ় গড়িয়ে শ্রাবণের মাঝামাঝিতেও নদীতে তেমন ইলিশ পাননি জেলেরা। এখন পূর্ণিমাকে ঘিরে শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ ধরা পড়ায় রামগতির আলেকজান্ডার ও বালুরচর মাছঘাট, কমলনগরের মতিরহাট, সাহেবেরহাট, কাদির পণ্ডিতেরহাট, মাতব্বরহাট ও পতাবুনিয়া, লক্ষ্মীপুর সদরের মজুচৌধুরীর হাট এবং রায়পুরের বিভিন্ন মাছঘাটগুলো এখন জমে উঠেছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মাছঘাটে জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের দেখা যাচ্ছে।
ওইসব ঘাটে জেলা শহর ও জেলার বাইর থেকে ব্যবসায়ীরাও এসে ইলিশ কিনে সড়ক ও নদীপথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিচ্ছেন।
স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতেও ইলিশ দেখা যাচ্ছে। দামও আগের চেয়ে কম।
সরেজমিনে গেলে রায়পুরের নাইয়াপাড়া জেলেপল্লীর নজরুল বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে নদীতে ইলিশের আশায় গেলেও পাইনি। এখন নদীতে ইলিশ আসতে শুরু করেছে, ধরা পড়ছে। আরও কয়েকদিন পর বেশি বেশি ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে’।
রামগতির বালুরচর এলাকার জেলে কবির, বেলাল ও হানিফ বলেন, ‘নদীতে জাল ফেললে দুই-একটা ইলিশ নিয়ে ফিরতে হতো। নৌকার জ্বালানি খরচও উঠতো না। গত দুই-তিনদিন ধরে নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে গত বছরের এ সময়ে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও এবার কম’।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্লাহ বলেন, টানা বৃষ্টি ও জোয়ারে মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। সাগর থেকে ইলিশ আসছে, জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। মা ইলিশ রক্ষা এবং জাটকা সংরক্ষণের ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে- এমটাই প্রত্যাশা করছি’।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এএসআর