রাস্তার পশ্চিমেও অবস্থা একই। বাড়িগুলো সব ডুবে আছে।
উপরে ক’টা টিন সাঁটিয়ে নিচে চার খুঁটিতে ছাউনি তৈরি করে মাটিতে বসে ভাত খাচ্ছিলেন অসুস্থ আব্দুল হাকিম। পাশে দাঁড়িয়ে তার সহধর্মিনী নূর আসমা। এর একশো গজ দূরে তাদের টিনের ঘরে হাঁটুপানি। জিনিসপত্র মটকায় তুলে এখানেই চলছে তাদের রান্না-খাওয়া।
নূর আসমা বলেন, হামার জিনিস-টিনিস কিছু নেই। হাঁস আছিল মুরগি আছিল বন্যেয় সব মরি গ্যাচে। গরু এপার অ্যানে থুইছি। সকালকার খাবার দুপুরিত খাই, কষ্টমষ্ট করি চলি। কালকি আছিনু খাটের উপর বসি, খানিকপর খাট ডুবলি মানুষির বাড়ি আছিনু। খাওয়া-দাওয়া আস্তার উপরত হচ্ছে। ওই পাশে চুইল্যা আনছি।
সোমবারের (১৪ আগস্ট) দুপুরের খাবার খেয়েছেন ছোট মাছ আর আলু ভাজি দিয়ে।
তিস্তার ওপার থেকে চর বজরার আমেনা বেগম। নতুন চুলা পেতেছেন। এখনও মাটি কাঁচা। বললেন, উপে নেই বাহে। কি ক্যইরবো। এতেই রান্না লাগবি। সব ডুবি গেছে।
বাড়ির চালে থাকা জালি কুমড়াটা পেড়ে এনেছেন। চাল আছে কিছু। অন্য জিনিসপত্র তখনও গোছাননি। কখন খাবেন তাও জানেন না। কোনো ত্রাণও পাননি। প্রতিদিন ডুবছে নতুন নতুন গ্রাম।
আমেনা এবং নূর আসমারই নয় শুধু, রাস্তাটিতে প্রায় সব পরিবারের চিত্র এক। রাস্তায়ই চলছে রান্না, সেখানেই খাওয়া, থাকা। অসহনীয় জীবন এসব বন্যাকবলিত মানুষের। তবু চলে যাচ্ছে জীবন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এএ/এইচএ/
আরও পড়ুন
** গম-ভুট্টা-পাটক্ষেতের উপর দিয়ে চলছে নৌকা!
** পচা ড্রেনে ছিপ ফেলে কেজি কেজি মাছ!
** নির্বাচনী এলাকায় ‘তুলোধুনো’ এমপি দারা!
** তিতুমীরে হিজড়া-ভিক্ষুকের রাজত্ব!
** পেরেছে কলকাতা-রাজশাহী, পারলো না শুধু ঢাকা!
** ‘নির্বাচিত হলে গ্রামেও আনবো ডিজিটাল সুবিধা’
** এমপি হলে পুরো বেতন অসচ্ছল নেতাকর্মীদের দেব
** ভরসন্ধ্যায় নির্বাচনী উত্তাপ রাজশাহী মহানগর আ'লীগ অফিসে
** এই আমাদের বিমানবন্দর রেলস্টেশন!