মঙ্গলবার ( সেপ্টেম্বর ১২) বেলা সোয়া দশটার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ১৯০৯ ফ্লাইটটি অবতরণ করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর সেখান থেকে সড়ক পথে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে মিয়ানমার সরকারের গণহত্যা থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করবেন এবং তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সফরে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, কক্সবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এদিকে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাচ্ছেন বাংলাদেশে নিয়োজিত সব বিদেশি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বা প্রতিনিধিরাও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রদূতদের সবাইকে ভাড়া করা প্লেনে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রাষ্ট্রদূতদের ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাবেন।
রাষ্ট্রদূতরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের সমস্যা সরেজমিনে দেখতে উখিয়ার কুতুপালাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরুর পর এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন চলে আসছে কয়েক দশক ধরে। বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার মুখে সেখান থেকে পালিয়ে এসে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
তাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো হলেও তাতে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার।
রোহিঙ্গাদের এই স্রোত ঠেকাতে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মতো কোনো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার তত্ত্বাবধানে একাধিক নিরাপদ এলাকা (সেইফ জোন) গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও তাতে কোনো কর্ণপাত করছে না দেশটি।
*রোহিঙ্গাদের দেখতে উখিয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
আরআই