ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভ্রমণে উৎসাহ দিতে পর্যটন মেলায় বান্দরবান জেলা প্রশাসন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
ভ্রমণে উৎসাহ দিতে পর্যটন মেলায় বান্দরবান জেলা প্রশাসন স্টলে দর্শনার্থীদের বান্দরবান ভ্রমণের বিস্তারিত তুলে ধরছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরীসহ কর্মীরা। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: পাহাড় নদী আর মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের পীঠস্থান পার্বত্য জেলা বান্দরবান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ জেলায় ভ্রমণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উৎসাহ দিতে ষষ্ঠ এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারে প্রচারণা চালাচ্ছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে রাজধানীর বিশ্বরোড সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার পুষ্পগুচ্ছ হলে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী মেলায় বান্দরবান ভ্রমণের খুটিনাটি তুলে ধরা হচ্ছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে এ পর্যটন মেলা।

 

মেলার ৩০ নম্বর স্টলে ভ্রমণপিপাসুদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে শৈলপ্রপাত, মেঘলা, নীলাচল আর নানা নানা জাতির পাহাড়ি জেলা বান্দরবান ভ্রমণের নানাবিধ তথ্য।  

ছবি: ডি এইচ বাদল / বাংলানিউজ
পর্যটন মেলায় অংশ নেওয়া বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বান্দরবানের সৌন্দর্য তুলে ধরতে মেলায় অংশ নিয়েছি। বান্দরবান হলো এমন একটি জেলা যেখানে একেক ঋতুতে একেক রূপ পাওয়া যায়।  

‘বর্ষায় এক রকম, গ্রীষ্মে অন্য রকম, শীতে আরেক রকম। বিভিন্ন ঋতুতে রূপময় ধারণ করা নানা নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বসবাসের এই জেলা।  
 
তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন এখানে  দেখার মতো শুধু নীলাচল ও নীলগিরি আছে। কিন্ত তা নয়, এখানে  ঘুরে দেখার মতো অসংখ্য স্থান। তা অনেকেই জানেন না। তাই মানুষকে এসব পর্যটন সমৃদ্ধ জায়গাগুলোকে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজনে অংশ নিয়েছি।  

ছবি: ডি এইচ বাদল / বাংলানিউজ
‘এখানে কেওকারাডং পাহাড়, জাঁদিপাই ঝরনা,  জীবন নগর, তিন্দুর বড়পাথর, মিরিঞ্জা, আলীর গুহা, উপবন লেক, মেঘলা, নীলাচল, জলপ্রপাত, চিম্বুক, শৈল প্রপাত, প্রান্তিক লেক, রিজুক ঝরনা, রুমানা ঝরনা, বগালেকসহ আরও অনেক জায়গা। এগুলো মানুষকে জানানোর জন্যই আমরা এসেছি। ’ 

জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী বলেন,  পাহাড়ের স্নেহে ছায়ায় গড়ে ওঠা এক স্বপ্নীল জনপদ বান্দরবান। এ জেলার বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর অকৃত্রিম জীবনাচরণ যে কারো অগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে।  

পর্যটকদের ভ্রমণ সহায়ক হিসেবে এ মেলা বান্দরবানসহ দেশের পর্যটন বিকাশে ভালো ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।  

ছবি: ডি এইচ বাদল / বাংলানিউজ ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বান্দরবানের  বিভিন্ন স্পট ও কালচারাল বিষয়গুলো নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করছি। যা আগামী এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারে দেখাতে পারবো বলে আশা করছি।  
 

আরও পড়ুন>>
** 
পর্যটন খাতে উড়াল দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ 

বান্দরবান ভ্রমণে নিরাপত্তা নিয়ে কেউ যেন সংকোচ বোধের কোনো কারণ নেই বলেও জানান প্রশাসনের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।  

তিনি বলেন, বান্দরবান জেলার নিরাপত্তা নিয়ে কেউ সংকোচ বোধ যেন না করেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলার বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গাইড সহায়তা দেবে জেলা প্রশাসন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
এএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।