বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে মানবিকতার বৃহত্তর স্বার্থে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘জাতির পিতা আমাদেরকে মানুষকে সহায়তা করাই শিখিয়েছেন। যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেই, অনেক সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
‘দেশের মানুষের আস্থা ছিল, বিশ্বাস ছিল, সমর্থন ছিল বলেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হয়। এ কারণে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত হচ্ছে, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, যা কিছু অর্জন হচ্ছে- তার সবই তাই এদেশের মানুষের কল্যাণে, তাদের সমর্থনে ও দোয়ায়।
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী বাসস্থান গড়ে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘আশ্রয় যখন দিয়েছি, তখন তাদেরকে ভালোভাবে রেখে সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেবো’- বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফেরার পর শনিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেওয়া সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকায় পৌঁছালে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো এবং ১৪ দলের নেতারাসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সংবর্ধনা জানাচ্ছেন। ঢাকায় পৌঁছালে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো এবং ১৪ দলের নেতারাসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানাচ্ছেন। নির্যাতিত হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া, জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিক ভূমিকা রাখায় আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হওয়া এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।
বিমানবন্দরের বাইরে প্রধান সড়ক থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে আওয়ামী লীগ, এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন, ১৪ দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
এমইউএম/আইএ/এএসআর
** ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী, বিমানবন্দরে দেওয়া হচ্ছে সংবর্ধনা