যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফেরার পর শনিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার বোন শেখ রেহানার উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে বলেছিল, ১৬ কোটি লোককে ভাত খাওয়াচ্ছ, আর সাত-আট লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারবা না! এই কথাটা আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল।
‘সব অর্জন এদেশের মানুষের অবদান’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অসহায় এই মানুষগুলোর জন্য তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম- যদি প্রয়োজন হয়, একবেলা খাবো এবং আরেক বেলার খাবার তাদেরকে ভাগ করে দেবো। বাংলাদেশ যদি এই উদ্যোগ না নিতো, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও এতোটা দৃষ্টি কাড়তো না’।
মিয়ানমারকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এমন একটা ভাব দেখালো, যেন যুদ্ধই বেঁধে যাবে। উস্কানি দেওয়া এবং এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলো, যেন বিশ্ব অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাবে। তখন আমি ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলার কথা বলি। আমার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যেন কোনো কিছুতে না জড়াই, সে কথাও বলি। অন্যদিকে রোহিঙ্গারা যারা আসছেন, তাদের সহযোগিতায় যা যা দরকার তাই করতে থাকি’।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদেরকে শিখিয়েছেন, মানুষকে সহায়তা করতে। যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেই, তার চেয়েও বড় বিষয় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর সেই সিদ্ধান্ত যখন সঠিক হয়, সে সময়ই সফলতা পায়। সবার সমর্থন পাই। রোহিঙ্গা ইস্যুটিও ঠিক তেমনি’।
দেশের বাইরে থাকলেও অফিসের কাজ করে গেছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল।
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী বাসস্থান গড়ে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘আশ্রয় যখন দিয়েছি, তখন তাদের ভালোভাবে রেখে সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেবো’- যোগ করেন তিনি।
এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকায় পৌঁছালে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো এবং ১৪ দলের নেতারাসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সংবর্ধনা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭/আপডেট ১০৪৬ ঘণ্টা
এমইউএম/এএসআর/আইএ