ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

গাজীপুরে রেললাইন থেকে মাটি কেটে বিক্রি ইটভাটায় !

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৭
গাজীপুরে রেললাইন থেকে মাটি কেটে বিক্রি ইটভাটায় ! রেললাইনের পাশ থেকে মাটি কেটে নৌকা দিয়ে পাচার করা হচ্ছে

গাজীপুর: প্রভাবশালী একটি মহল গাজীপুরে রেললাইন থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় ইটভাটায়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে রেললাইনটি। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মিরেরগাঁও এলাকায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মিরেরগাঁও এলাকায় তুরাগ নদের পাশে ঢাকা-উত্তরবঙ্গগামী রেললাইনের পাশ থেকে ৫-৭টি নৌকাযোগে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। পরে ওইসব নৌকার মাটি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে।

রেললাইনের পাশেই ১০-১২ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নেয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে রেললাইনটি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ডের আহাকী এলাকার বাসিন্দা সন্তু মিয়ার ছেলে প্রভাবশালী মামুন মিয়াসহ আরো কয়েকজন রেললাইনের মাটি বিক্রি করছে। প্রতি নৌকা মাটি ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা দরে। নৌকার ঠিকাদাররা ওই মাটি আবার ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করছে ২ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা দরে। দীর্ঘ দিন ধরে তারা রেললাইনের মাটি কেটে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত করছে সরকারি সম্পদ। শুধু তাই নয় ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে রেললাইনটিও। রেললাইন থেকে মাটি কাটতে নিষেধ করলেও প্রভাবশালীরা তা মানছে না। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয়ে সারাদিন চলছে রেললাইনের মাটি বিক্রি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা শতশত ইটভাটাগুলোতে কাঁচামাল হিসেবে মাটির চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ মাটি না থাকায় ইটভাটা ব্যবসায়ীরা কম দামে রেললাইনের মাটি কিনে নিচ্ছে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে।  

মাটি ব্যবসায়ী মামুন মিয়া বলেন, রেললাইন থেকে মাটি কাটতেছি এটা ঠিক। তবে রেললাইনের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। রেললাইনের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেই মাটি বিক্রি করছি।  

এ ব্যাপারে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ জানান, বিষয়টি জানা নেই। রেললাইন ও রেলওয়ের জমি থেকে মাটি বিক্রির কোন নিয়ম নেই। তদন্ত করে সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগেও এ ধরনের ঘটনায় ওই এলাকার কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
আরএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।