বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস্ ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস ২০১৭’র উদ্বোধন করে এ আহ্বান জানান তিনি।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহণে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে এ লেদার প্রোডাক্ট শো’র আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১৫টি রাষ্ট্রের এ শিল্পখাতের সংগঠক, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন।
অদক্ষদের মাধ্যমে জবাই করা পশুর চামড়া ছাড়ানোয় চামড়ার গুণগত মান নষ্ট হওয়া এবং এ শিল্পের ক্ষতির কথা তুলে ধরে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া ছাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দিতে যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহায়তা দেবো’।
লেদার প্রোডাক্ট শো’র সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ আয়োজন আমাদের দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বেশি হারে আকৃষ্ট হবেন’।
এ আয়োজন বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও রফতানি বাড়াতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এর ফলে বাংলাদেশি চামড়া ও পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্যের মান ও বৈচিত্র বিশ্ব পরিমণ্ডলে তুলে ধরা সম্ভব হবে। চামড়া খাতে শিল্প উদ্যোক্তাদের কমপ্লায়েন্স, দক্ষ শ্রমিকের সহজলভ্যতা, প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন খরচ, উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও সফলতা ব্যাপকভাবে প্রচার করা যাবে।
বাংলাদেশের ক্রম সম্প্রসারণশীল চামড়া ও পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্য শিল্পখাতে উন্নত প্রযুক্তি সংযোজন, এ খাতের উৎপাদনশীলতা ও গুণগত উৎকর্ষ বাড়াতে সবাইকে মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
নতুন রফতানি বাজার খোঁজার পাশাপাশি পণ্যের মান উন্নতকরণ ও বহুমুখীকরণেরও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক মান ও স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখকে টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া, আয়কর রেয়াত, ওয়েট ব্লু লেদার ছাড়া চামড়াখাতে এফওবি রফতানি মূল্যের ওপর শতভাগ এক্সপোর্ট পারফরমেন্স লাইসেন্স সুবিধা প্রদান, হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারিশিল্প স্থানান্তর, ভবিষ্যতে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে ট্যানারি শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা রফতানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদানসহ শ্রমঘন এ শিল্প খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতাদের বাংলাদেশের চামড়া খাতে আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করতে এবং চামড়াজাত পণ্য আরও বেশি সোর্সিং করারও আহ্বান জানান তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে রফতানি বাণিজ্যকে বিস্তৃত ও বহুমুখীকরণে তিনি যে ৩টি পণ্য বেছে নেন, তার মধ্যে ছিল চামড়াও’।
১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ১৬.১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও ১৮ হাজার মার্কিন ডলারের পাদুকা রফতানির কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এমইউএম/এএসআর
** রাজশাহী-চট্টগ্রামে নতুন ২ চামড়া অঞ্চল হবে