দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে কার্জন হল এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বেহাল দশা বিরাজ করছিলো। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে চলতে গিয়ে রীতিমতো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ, জীব বিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদ এর অবস্থান কার্জন হলে। এছাড়া রয়েছে ফজলুল হক মুসলিম হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, কবি সুফিয়া কামাল হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রায় এক চতুর্থাংশ এইসব সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কার্জন হলের সম্মুখভাগের সড়কে রয়েছে ছোট বড় গর্ত। সড়কের মাঝখানে (মূল কার্জনের সম্মুখভাগে) বিটুমিন উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে দুটি গর্ত। এছাড়া আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ থেকে ফজলুল হক মুসলিম হলের গেট পর্যন্ত সড়কের সংস্কার শুরু হলেও কাজের অগ্রগতি নেই। সড়কের গর্তে বড় বড় কংকর দেয়া হয়েছে। আর একপাশে বালির স্তুপ রাখা।
এই অবস্থার কারণে উল্টো দুর্ভোগ হচ্ছে উল্লেখ করে জীব বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এক বিভাগের শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ দিন পরে কাজ শুরু হলেও কাজ বন্ধ রয়েছে। আগে মোটামুটি হাঁটা যেত, এখন ভালো করে হাঁটাও যায় না। তিনি দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ফজলুল হক মুসলিম হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু রাকিব বাংলানিউজকে বলেন, এই সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র সোয়া কিলোমিটার। এই কাজটি শেষ করতে এতোদিন সময় লাগার কথা না। কাজের ধীরগতির কারণে আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে।
আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ নিরাপত্তা চৌকিতে ১৯৯৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন শাহাজাহান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দশ বছর ধরে এই সড়কের সংস্কার হয় না। কিছু দিন আগে কাজ শুরু হলেও সপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ঠিকাদার কাজ ফেলে যাওয়ার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
তবে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ ছিল। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এসকেবি/আরআই