রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বড়কুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রিফাতের মা বুলবুলি বেগম সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
রিফাত উপজেলার বড়কুড়া গ্রামের চা বিক্রেতা মুকুল প্রামানিকের ছেলে। বর্তমানে সে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রিফাতের মা বুলবুলি বেগম বাংলানিউজকে জানান, রোববার বিকেলে রিফাত বড়কুড়া গ্রামের খোকন সরকারের ক্ষেত থেকে একটি মূলা তোলে। এ সময় খোকন রিফাতকে ধরে হাত-পা বেঁধে মারপিট করেন। এক পর্যায়ে খোকন একটি মূলা রিফাতের মুখে ঢুকিয়ে দেন। এতে রিফাত জ্ঞান হারায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কামারখন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এমএস সুমনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে শিশুটির কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে সে কাউকে চিনতে পারছে না। তার ডান চোখের কোনে নখের আঁচড় রয়েছে। নিচের ঠোঁটের বাম পাশে কেটে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার পিঠ ও পেটের চামড়া ফুলে রয়েছে।
এ বিষয়ে জমির মালিক খোকন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘রিফাত আমার জমির সব মূলা নষ্ট করেছে। তাই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মূলা খাইয়েছি। ’
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়দা খান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এনটি