বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে নতুন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া একেএম শাহজাহান কামালকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান মেনন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শাহজাহান কামালকে পরিচয় করিয়ে দেন।
রাশেদ খান মেনন বক্তব্যের শুরুতেই জানান, ১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যে সংসদে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন।
মেনন বলেন, আমি আশা করি শাহজাহান কামালের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয়ে আমরা যে গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছি তা অব্যাহত থাকবে এবং এগিয়ে যাবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাদের নতুন মন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বিদায়ী মন্ত্রী মেনন বলেন, যখন আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসলাম, তখন অনেকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন। বলেছেন, ডুবন্ত জাহাজকে ভাসিয়ে তোলার দায়িত্ব নিলেন। কিন্তু আজ আমি তৃপ্ত মনে বিদায় নিচ্ছি। এই মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল। বিমানকে একটা লাভজনক জায়গায় নিয়ে আসা, পর্যটনের প্রসার ঘটানো। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা মোকাবিলা করে একটা ভিত্তি তৈরি করতে পেরেছি।
এখানে অস্বস্তিরও কিছু বিষয় আছে জানিয়ে মেনন বলেন, বিমান মন্ত্রণালয়ে কিছু প্রয়োজনীয় আইন দরকার ছিল। সেগুলো আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। বিমানের উপর ভ্যাট বসানো হয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক বিমান আইনের পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক যেসব এয়ারলাইন্স এখানে আসে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এটা আমরা একাধিকবার বোঝাতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু বোঝাতে পারিনি। এটা আপনার (শাহজাহান কামাল) জন্য চ্যালেঞ্জ হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নাশকতার আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে তদন্তে আসে, এটা নাশকতা নয়। যাদের সন্দেহ করা হয়েছিল, পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের ক্ষেত্রে গত বছর এক কোটি মানুষ ভ্রমণ করেছেন। এদেশে ১০ লাখ ট্যুরিস্ট আসার টার্গেট নিয়েছিলাম, কিন্তু সেটা পূরণ হয়নি। ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যাকাণ্ড, হলি আর্টিজানের ঘটনার কারণে বিদেশি পর্যটক আসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের অধিকাংশ পর্যটক জাপান থেকে আসে। এসব ঘটনার পর জাপান থেকে আসার সংখ্যা কমেছে।
মতবিনিময় শেষে নতুন মন্ত্রীকে তার কক্ষে আসনে বসিয়ে তিনি বিদায় নেন।
**দায়িত্ব নিলেন নতুন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮/আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা
এসকে/আরআর