গরম কাপড়ের স্বল্পতায় জেলার সর্বত্রই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। তীব্র ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।
কুড়িগ্রামে প্রচণ্ড শীতের দাপটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় বাড়ছে রোগ-ব্যাধি। গত একসপ্তাহের ব্যবধানে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে বিভিন্ন রোগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (০৮ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এটাই চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীনুর রহমান সরদার শিপন বাংলানিউজকে জানান, চলতি মাসের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই হাসপাতালে শীতের সময় বিভিন্ন রোগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই শিশু। তিনি জানান, সোমবার ১৮০ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে ৩১ এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৮ শিশু রয়েছে। শীতের কারণে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
তবে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক বলেন, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে মারা যাওয়া ১১ রোগীর মধ্যে ২ জন বয়স্ক। হার্ট ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল তাদের। বাকিরা শিশু।
কুড়িগ্রাম জেলার ত্রাণ ও পুনবার্সন কার্যালয়ের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, চলতি শীত মোকাবেলায় ত্রাণ বিভাগ থেকে ৯টি উপজেলায় ৫৭ হাজার কম্বল সরবরাহ করা হয়েছে। যেগুলো বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এফইএস/এমএ
** তাপমাত্রাকমে ২.৬ ডিগ্রিতে, থাকবে আরো দু’দিন