সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে সম্পূরক প্রশ্নে মোতাহার হোসেন বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনি যথার্থ একটা কথা বলেছেন। এবার যে শীত পড়েছে গত ৫০ বছরেরও এ ধরণের শীত লক্ষ্য করিনি, উপলবদ্ধিও করিনি। এবার সারাদেশে বিশেষ করে ২০টি জেলা যেমন- দিনাজপুর, রংপুর , কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, গাইবান্ধা, নীলফামারিসহ ২০টি জেলায় গত ১০ দিন ধরে একই অবস্থা। গত ৭ দিন ওইসব জেলায় কোনো সূর্য্য দেখা যাইনি। এই কষ্টের মধ্যদিয়ে মানুষ দিন যাপন করছে। তবে আমরা বসে নেই। এবার সরকারের আগাম প্রস্তুতি ছিলো।
সরকারের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাণ ভান্ডার থেকে ১৮ লাখ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুই ধাপে ৯ লাখ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ৭ লাখ ও দ্বিতীয় ধাপে ২ লাখ কম্বল দেওয়া হয়েছে।
মায়া বলেন, শীত কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। আরও কয়েক দিন ধরে এ ধরণের শীতে মানুষের কষ্ট হবে। তাই আমরা আজ (সোমবার) তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই ২০ জেলাসহ সারা দেশে আরও ৯৮ হাজার পিস কম্বল পাঠিয়েছি। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, ওই ২০ জেলাসহ সারা দেশেই শীত জেকে বসেছে। তাই দেশের ৬৪ জেলার জন্য আরও ২ লাখ ২০ হাজার কম্বল ও ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠিয়েছি। সর্বমোট ৩০ লাখ কম্বল বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে।
শীতার্থদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
এসএম/জিপি