বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারের শরিক তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্কুল সরকারিকরণ ও এমপিওভুক্তি নীতিমালার ভিত্তিতেই হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার কাছে যে স্কুলের প্রস্তাব নিয়ে আসলো সেই স্কুলে মাত্র দেড়শ ছাত্র-ছাত্রী, মাত্র দেড়শ! সেখানে সরকারিকরণ করবার প্রস্তাব নিয়ে আসছে আমারই আত্মীয়। আমি বলে দিলাম যেখানে মাত্র দেড়শ ছাত্র-ছাত্রী, এটা কীভাবে সরকারিকরণ করব? আত্মীয় হলেই তো এসে... বললেই তো আমি করতে পারবো না। আমি ওখানে নির্বাচন করে এমপি হয়েছিলাম। একটা যৌক্তিকতা থাকতে হবে তো। আমার আত্মীয় হয়ে প্রস্তাব নিয়ে আসলো আর আমি সেটা দেখেই সরকারি করে দেবো, এত বড় অন্যায় তো আমি করব না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা প্রায় ৩৬ হাজার স্কুল সরকারিকরণ করেছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তখন আমরা ২৬ হাজার স্কুল সরকারি করে দিয়েছি। তখন কিন্তু একটা কথা ছিল, আর কোনো স্কুল সরকারিকরণের জন্য দাবি করা যাবে না, এমপিওভুক্ত করলেই হবে। এরপর বেশকিছু স্কুল এমপিওভুক্ত করে দিয়েছি। এরপর দেখলাম আবার শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করলেন। প্রত্যেক এলাকায় কোথায় কত স্কুল হবে, কয়টা স্কুল প্রয়োজন সেগুলো কিন্তু একটা হিসাব করে সেইভাবে স্কুল তৈরি করার নীতিমালা আমরা করে দিয়েছি। বন্যাপ্রবণ এলাকায় কিছু স্কুল তৈরি করার প্রকল্প নিয়েছি। প্রায় ৩ হাজার স্কুল করব। সেখানে স্কুল যেমন চলবে আবার বন্যা এলে সেখানে যেন মানুষ আশ্রয় নিতে পারে সেই ব্যবস্থা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এসএম/এসকে/এমজেএফ