বেসরকারি ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মেজর (অব.) ডা. মাহাবুবুল হক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, একই ঘটনায় আহত অ্যানির দেবর মেহেদী হাসান জানাজায় অংশ নিতে আর্মি স্টেডিয়াম গেছেন।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলানিউজকে জানান, প্লেন দুর্ঘটনায় অ্যানি বেঁচে গেলেও তার শিশু সন্তান তামাররা ও স্বামী এফএইচ প্রিয়ককে হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন>>
** প্রাণোচ্ছল সেই তারা ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে
প্রথম দিকে জানানো হয়, অ্যানিকে তার শিশু সন্তান ও স্বামীর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়নি। এরপর সে খবর দেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
এর আগে গত ১৬ মার্চ কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যানি, তার দেবর মেহেদী হাসান এবং তার স্ত্রী সৈয়দ কামরুন নাহার স্বর্ণাকে ঢাকায় আনা হয়।
এরপর থেকে তাদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।
গত ১২ মার্চ স্বামীসন্তানসহ একই পরিবারের ৫ সদস্য নেপাল ঘুরতে গিয়েছিলেন। ওইদিন প্লেনটি অবতরণের সময় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে যায় তাদের বহনকারী ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইটটি।
এতে ৭১জন আরোহীর সবাই হতাহত হন। নিহত হন ৫০জন; যাদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ২৬জন। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩ জন যাত্রীর মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এজেডএস/এমএ