হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করছেন মেহের আফরোজ শাওনসহ তার ভক্তরা-ছবি-বাংলানিউজ
গাজীপুর: হুমায়ূন আহমেদকে ছাড়া প্রতিটি দিন তার ভক্তদের, তার পরিবারের একই রকম কষ্টের। ২০১২ সালের ১৯ জুলাইয়ের পর প্রতিবছর এই দিনটি আসে। কিন্তু প্রত্যেক বছর প্রতিটি দিন আমাদের একইরকম তাকে স্মরণ করে বা তাকে ভেবেই কাটে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী এলাকায় নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন একথা বলেন।
শাওন বলেন, আর কোনো প্রত্যাশা নেই।
হুমায়ূন আহমেদ যা করে গেছেন তার কর্ম, তার লেখা, তার নির্মাণ সবকিছুর মধ্যে উনি বেঁচে আছেন তার ভক্তদের মধ্যে। সেজন্য ভক্তদের কাছে প্রত্যাশার কিছু নেই। একটা আশা ছিল হুমায়ূন আহমেদের মতো একজন গুণী লেখক আমাদের বাংলা সাহিত্যে আছেন। যার বাংলাদেশে জন্ম। ছয় বছর হয়ে গেলো তিনি নেই। আমি খুব স্বপ্ন দেখতাম একটা রাস্তা অথবা একটা চত্বর যদি হতো হুমায়ূন আহমেদের নামে। বাংলাবাজারে কোনো একটা রাস্তা বা চত্বর হতে পারত হুমায়ূন আহমেদের নামে। এরকম কিছু স্বপ্ন ছিল। স্বপ্নতো এমনি, পূরণ না হলেও স্বপ্ন দেখে যাই। সেই স্বপ্ন আমি আজীবন দেখে যাবো হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে। কখনও একটা রাস্তা বা চত্বর হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্যানসার হাসপাতালের কথা হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় বলে গেছেন। এটা আমার পরিবারের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। সামগ্রিকভাবে এটা হওয়ার একটা চেষ্টা চালাতে হবে। সেই চেষ্টা আমাদের দেশের গুণীজন, বুদ্ধিজীবী ও নীতিনির্ধারকেরা যারা আছেন তাদের প্রত্যেককে আমি সেই অনুরোধ করি। তারা যদি সম্মিলিতভাবে ডাক দেন তাহলে হুমায়ূন আহমেদের সেই স্বপ্নের হাসপাতাল হতে পারে। হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘর প্রক্রিয়াধীন আছে। নুহাশপল্লীর নিজস্ব অর্থেই আমরা এটা করতে চাই।
এ সময় শাওনের ছেলে নিষাদ, নিনিত ও হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুলের শুভেচ্ছা, কবর জিয়ারত ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ১৯ জুলাই, ২০১৮
আরএস/আরআর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।