ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

২২ ঘণ্টা পরও রাস্তায় কোরবানির বর্জ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
২২ ঘণ্টা পরও রাস্তায় কোরবানির বর্জ্য রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে আছে কোরবানির বর্জ্য। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদের দিন (বুধবার, ২৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লায় পশু কোরবানি শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা অবধি। তবে দুপুর ২টা থেকে ঢাকা উত্তর (ডিএসসিসি) এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন ও উত্তরের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা নিজ অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন। দুই সিটি করপোরেশনের ঘোষণা ছিলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব ধরনের প্রকার বর্জ্য অপসারণ করে রাজধানীবাসীকে পরিষ্কার শহর উপহার দেবেন।

কাজ শুরুও হয়েছে। কিন্তু এখনো শতভাগ কাজ শেষ হয়নি। অবশ্য ২৪ ঘণ্টার অারও দুই ঘণ্টা বাকি অাছে।

যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বর্জ্য।  ছবি: বাংলানিউজবৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দিন এখনো রাস্তায় পড়ে অাছে বর্জ্য। উত্তর সিটি করপোরেশনের মোহাম্মদপুরের অাদাবর, শেখেরটেক, জহুরিমহল্লা, টিক্কা পাড়া এলাকার রাস্তায় একটু পর পরই ময়লার স্তুপ। কোরবানির বর্জ্য চারদিক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একই অবস্থা বাড্ডাসহ আশপাশের এলাকারও।  

তবে বিগত সময়ের চাইতে এবার একটু পরিচ্ছন্ন মনে করছেন নগরবাসী। টিক্কা পাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যার সময় অামাদের মহল্লায় যে সকল কোরবানি হয়েছে তারর বর্জ্য এখনো রয়ে গেছে। কোরবানির বর্জ্য তো দ্রুত দুর্গন্ধ ছড়ায়। সিটি করপোরেশন থেকে ব্যাগ সরবরাহ করলেও তাদের পরিচ্ছন্ন কর্মী এখনো দেখি নাই। কখন আসবে তাও জানি না।  

বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও পথের ধারে পড়ে আছে ময়লা।  ছবি: বাংলানিউজএকই অবস্থা পুরান ঢাকারও। লালবাগ ১৬ হরনাথ ঘোষ রোডের কয়েকগজ পরপরই বর্জ্যের স্তুপ। অনেকে অাবার বৃহস্পতিবার কোরবানি করে পুরানো ময়লার রেখে যাচ্ছেন নতুন বর্জ্য।  

হরনাথ ঘোষ রোডের বাসিন্দা মো. অাসিফ বাংলানিউজকে বলেন, এই গলির অনেক জায়গায় ময়লা দেখতে পাবেন। গতকাল যে কোরবানি হয়েছে তার বর্জ্যই এখনো সরেনি। অাজ অাবার নতুন করে কোরবানি হচ্ছে। দ্রুত অপসারণ করতে না পারলে দুর্গন্ধে থাকা যাবে না।

নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রী কারাগারের সামনেও অনেক ময়লার স্তুপ। সেখানে তিনজন পরিচ্ছন্ন কর্মীকে দেখা যায়।  তারা কোরবানির বর্জ্য ট্রাক ভর্তি করছেন।

অন্যদিকে সাইন্সল্যাব এলাকার রাস্তায় যেখানে বুধবার দুপুরের পর থেকে অস্থায়ী চামড়ার বাজার বসেছিল। সেই জায়গায় এখনো গরু, ছাগলের শিং ও রক্ত পড়ে অাছে।

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে ব্যস্ত সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।  ছবি: বাংলানিউজডিএসসিসি-এর পরিচ্ছন্ন কর্মী সেলিম ও তার সঙ্গীরা ঝাঁড়ু দিয়ে পরিষ্কার করছেন, কিন্তু রক্তের দাগ মুছছে না। রক্ত পরিষ্কারের জন্য পানির গাড়ি থাকার কথা থাকলেও কোথাও দেখা যায়নি।  

এদিকে এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় মেয়র সাঈদ খোকন ও প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা দুই নগর ভবনে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার কার্যক্রম সংবাদমাধ্যমকে জানাবেন।

যত্রতত্র ফেলা হয়েছে কোরবানির বর্জ্য।  ছবি: বাংলানিউজতবে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের যেভাবে উপস্থিতি দেখা গেছে তাতে ২৪ ঘণ্টার ঘোষণা বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছেন বলে মনে করছেন নগরের বাসিন্দারা।  

করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, দুই সিটি করপোরেশেনের নিয়মিত ও অস্থায়ী মিলে প্রায় ২১ পরিচ্ছন্ন কর্মী মাঠে রয়েছেন। তাদের ভোর রাত থেকে শুরু দুপুর দুইটার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করে সমাপ্তি ঘোষণা করার কথা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, অাগস্ট ২৩, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।