গত ৩ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া এসব মরদেহের বেশিরভাগেরই মৃত্যুর সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। আর তাই থানাগুলোতে অপমৃত্যুর মামলাই বেশি রুজু হয়েছে।
সূত্র মতে, ১১ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে নিখোঁজের ৭ দিন পর যুবক রাসেলের (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয় কীর্তনখোলা নদী থেকে। ১০ জানুয়ারি নলছিটিতে নিখোঁজের একদিন পর খালের পাশ থেকে হানিফ খন্দকার (৫৮) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৭ জানুয়ারি মুলাদীতে নিখোঁজের ১৬ দিন পর গিয়াস উদ্দীন নামে এক যুবকের এবং ৫ জানুয়ারি উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের পীরেরপাড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় ননী বাড়ৈ (২২) নামে আরেক যুবকের মরদেহ ।
একই দিন বরিশালের সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর চরআইচা খেয়াঘাট এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও পরবর্তীতে মরদেহটি নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সালের (২৩) বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। এছাড়াও আগৈলঝাড়ায় উদ্ধার হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী তাজুলের ঝুলন্ত মরদেহ।
পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে দাবি করা হয়। ৩ জানুয়ারি আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রাম থেকে অপর এক গৃহবধূ রীতা হালদারের (৩২) মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এছাড়া মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ উপজেলার সাপলেজা থেকে এলিজা বেগম (৩০) নামে দু’সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করে গত ২ জানুয়ারি।
এ বিষয়ে বিএম কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেখা সুলতানা বলেন, গত ১০ দিনে ৮ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা দুঃখজনক। প্রতিটি মৃত্যুর সঠিক কারণ খুজে বের করা উচিত। এরপর আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হলে এমন দুঃখজনক ঘটনার মাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মরদেহগুলো উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাছাড়া সব ঘটনাই কিন্তু হত্যাকাণ্ড তা নয়, এর মধ্যে দুর্ঘটনাও হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমএস/এএটি