শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের একটি ইটভাটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জলঢাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
ইতোমধ্যে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা ও ইটভাটার মালিকের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা এসেছে। পরিবারগুলোকে সহায়তার কথা জানিয়েছে নীলফামারী জেলা প্রশাসনও।
>>>আরো পড়ুন...চৌদ্দগ্রামে কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে ১৩ ইটভাটা শ্রমিক নিহত
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিণ বাংলানিউজকে বলেন, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় আমরা প্রত্যেকে মর্মাহত। নিহত শ্রমিকদের প্রতিটি পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ওই দুই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় নিহতদের পরিচয় ও নামের তালিকা সংগ্রহ করেছেন।
এদের মধ্যে ৯ জন পাঠানপাড়ায় বলে জানিয়েছেন মীরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুকুম আলী। বাকি ৪ শ্রমিক ঘুঘুমারী গ্রামের বলে জানিয়েছেন শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হামিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকায় কাজী অ্যান্ড কোং ইটভাটায় একটি ট্রাক থেকে কয়লা আনলোড করার সময় উল্টে গিয়ে ভাটার লেবার শেডের ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এনটি