ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা: নাহিদ ইসলাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে ব্যবস্থা: নাহিদ ইসলাম

ঢাকা: কোনো গণমাধ্যমে হামলা-ভাঙচুর হলে মেনে নেওয়া হবে না। এমন কিছু ঘটলে সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বিগত সরকারের সময় এ ক্ষেত্রটির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। যে কারণে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেটা স্পষ্ট করা গণমাধ্যমেরই দায়িত্ব বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে নানা প্রশ্ন করেন।

জাতীয় দুই পত্রিকা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসের সামনে আন্দোলন, হামলা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমের জন্য হুমকি কি না? সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ল অ্যান্ড অর্ডারের যে সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে সে জায়গা থেকে সরকার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে হামলা-ভাঙচুর হলে আমরা মেনে নেব না। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এটা আইনিভাবে দেখব।

তিনি বলেন, এটা কেবলই আইনি বিষয় না। গত সরকারের সময় গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। একইসঙ্গে জনগণ সভা-সমাবেশ করলে সেটা যেন শান্তিপূর্ণ হয় সে আহ্বান আমরা জানিয়েছে। পুলিশও যেন দায়িত্বশীল আচরণ করে, শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সমাবেশ করতে দেয় আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি।

গণমাধ্যমের ওপর যে বিক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে সেটা কি ষড়যন্ত্রের অংশ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারাই এটা ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা কেন বিক্ষোভ প্রকাশ করছে, এটা চিহ্নিত করা উচিত। এজন্য লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাদের সঙ্গে কথা বললেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, একটা মিথ্যা খবর-গুজব অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সেই জায়গায় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। এই সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়, তাদের নিজস্ব কোনো প্রচারমাধ্যম নেই। ফলে আমরা গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের নিজস্ব কোনো কর্মীবাহিনী নেই বা গণমাধ্যম নেই। তারা বর্তমান সরকারের কার্যক্রম প্রচার করবে। সেজন্য আমরা গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল। সেটাকে রাতারাতি বদল করে একটা স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসা কঠিন। মেট্রোপলিটন পুলিশকে গ্রামে ট্রান্সফার করা হয়েছে, মফস্বলের পুলিশকে ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদের একটু সময় লাগবে গুছিয়ে উঠতে। আর তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা আমাদের অনেক তথ্য নিয়ে সহায়তা করে। সে জায়গা থেকে আমরা সহায়তা কামনা করছি। সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।