দুদকের অভিযানে উঠে এসেছে এ চিত্র।
রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামকব্যাধি হাসপাতাল থেকে সরকারের রোগীদের জন্য সরবরাহ করা বিনামূল্যের ওষুধ হাসপাতালের বাইরে ফার্মেসিতে বিক্রি করা হয়।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক ঝটিকা অভিযানে উঠে এসেছে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাসপাতালে রোগীদের কাছে বিনামূল্যে সরবরাহ না করে বাইরে বিক্রি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, তথা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক মহাখালীতে সংক্রামক হাসপাতাল ও আশেপাশের ফার্মেসিতে অভিযান চালায়। এ সময় দুদকের সঙ্গে ছিলো সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সমন্বিত টিম আকস্মিক এ অভিযান চালায়।
অভিযানে সমন্বিত টিম ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন একটি ফার্মেসির সন্ধান পায় এবং সেই ফার্মেসিটি দুদক টিমের উপস্থিতিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দুদক টিম সরকারিভাবে সরবরাহকৃত ওষুধ রোগীদের বিনামূল্যে বিতরণ না করে অবৈধভাবে বাইরে সরবরাহের তথ্য পায়।
এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রাপ্ত ৯০ লাখ টাকার ভ্যাকসিন ও আইজি (ইমিউনো গ্লোবিউলিন), যা হাসপাতালে সরবরাহের পর কিভাবে খরচ হয়েছে তার কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি। এছাড়া রোগীদের দেওয়া ভ্যাকসিনের সঙ্গে রেজিস্টার বইয়ের ব্যাপক গড়মিল পাওয়া যায়। এদিকে দুদক বলছে, পুরো তথ্য উদঘাটন করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে।
এ প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযান বিভাগের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, সরকারি হাসপাতালের ওষুধ বিক্রি করে অবৈধ অর্থের ভাগবণ্টন কিভাবে হয়, দুদক তা অনুসন্ধান করে বের করবে এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীকে আইনের মুখোমুখী করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এমএএম/জেডএস