ঢাকা, শুক্রবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফুলবাড়িয়ায় হত্যার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, এসআই গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
ফুলবাড়িয়ায় হত্যার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, এসআই গ্রেফতার হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: পূর্ব বিরোধের জের ধরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আন্ধারিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সেলিমকে (৪০) হত্যার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। 

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফুলবাড়িয়া থানার সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।   এ সময় হত্যা মামলার আসামি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এলাকাবাসী।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে সড়কে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।

থানার সামনে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভকারী নিহত সেলিমের বন্ধু স্থানীয় আন্ধারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আকরাম ও সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ হত্যা মামলার মূল হোতা এসআই মোহাম্মদ আলী। আমরা তার ফাঁসি চাই। ’  
 
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কবিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিহত সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন শেফালী বাদী হয়ে এসআই মোহাম্মদ আলীসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার প্রধান আসামি এসআই মোহাম্মদ আলীকে সকালে তার নিজ কর্মস্থল জামালপুর সদর থানা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামিরা হলেন মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াদ (২০), তার সৎ ভাই মহব্বত আলী (২১), ফুলবাড়িয়া উপজেলার আন্ধারিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান মৌলভীর ছেলে ফারহান আলী (২৩)।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এসআই মোহাম্মদ আলী ও সেলিমের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল।

আট থেকে ১০ বছর আগে এসআই মোহাম্মদ আলীর বাবাকে মারধর করেছিল সেলিম। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলেও জানান ওসি কবিরুল।
 
এর আগে শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রতিবেশি সেলিমকে এসআই মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াদসহ কয়েকজন তাদের ফার্মে ডেকে এনে মুখের ভেতর গামছা ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিমের মৃত্যু হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯ 
এমএএএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।