নিহত নাছিমা বেগম (৪৫) ডুমুরিয়া উপজেলার উখড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর মোড়লের স্ত্রী। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।
আহতদের কয়েকজনকে তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-মনিরামপুরের রোকেয়া বেগম (৪২), বাউশলার আরশাফ সরদার (৪৮), শ্রীপুরের বারেক গাজী (৬৯), হাসাডাঙ্গার রবিউল ইসলাম (৩৫), শিশু হাবিবা (২) ও হাবিবা বেগম (২৫)।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চুকনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার দূরে চুকনগর-যশোর মহাসড়কের নুরানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুকনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০/৬০ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ছেড়ে যায়। বাসটি মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নুরানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসকে সাইড দিতে গিয়ে বাম পাশের চাকা রাস্তার নিচে নেমে যায়। এ অবস্থায় চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারালে মহাসড়কের উপরেই বাসটি আড়াআড়িভাবে উল্টে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারী নিহত হন। দুর্ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা অভিযোগ করেন, বাস ছাড়ার পর পরই চালক মোবাইল ফোনে কথা বলতে শুরু করেন। চালকের মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মাগুরাঘোনা পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্প ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকারিয়া হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পারি ড্রাইভার মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
এমআরএম/আরআর