তিনি বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে অবৈধভাবে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন, পাহাড় কর্তন ও বালু উত্তোলনে যতো কঠোর হওয়া প্রয়োজন ততটুকু কঠোর হতে সিলেট বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদফতর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের উপকন্ঠ টিলাগড় বন্যপ্রানী সংরক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বন বিভাগ সিলেট ও পরিবেশ অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন হঁশিয়ারি দেন বনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্যের দিক থেকে সিলেট এখনো অনেক ভাল। অবশ্য ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধে সরকার শিগগিরই নতুন আইন প্রণয়ন করবে। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আইনটি সংসদে তোলা হতে পারে।
বনমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। তাই দেশবাসীকে গাছ লাগাতে অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটকে পর্যটন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য এ দু’টি দফতরে (বন ও পরিবেশ) জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি দেওয়া এবং ডিপ্লোমা স্কেল করার বিষয়ে আশ্বাস্থ করেন তিনি।
সিলেটের ইকোপার্কে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়াতে বাঘ-হাতি-ভালুকসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী আনা হবে বলেন তিনি।
সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আর এস এম মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিসিকের ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ এবং বন বিভাগের কর্মকতা ও কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এনইউ/এএটি