ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিহতদের দাফন সম্পন্ন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিহতদের দাফন সম্পন্ন 

শরীয়তপুর: রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত ছয়জনের মরদেহ তাদের নিজ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়ায় ইউনিয়নের কিরণ নগরে দাফন করা হয়েছে। 

সর্বশেষ রোববার (১০ মার্চ) রাতে একই ঘটনায় নিহত শাহিদা বেগমের মরদেহ বাড়ির পাশে তার দুই মেয়ে মিম ও মাহির কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।  

এরআগে, দুপুরের দিকে মিম ও মাহির মরদেহ দাফন করা হয়।

এছাড়া একই ঘটনায় নিহত দেলোয়ার ও তার ছেলে জুনায়েদকে কিরণনগর হাজী নুর মোল্যা কান্দি গ্রামের একটি কবরস্থানে স্ত্রী জামশেদার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। জামশেদাকে দাফন করা হয় শনিবার (০৯ মার্চ) বিকেলে।   
  
গত বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) রাতে সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন দুই পরিবারের ছয়জন। তারা হলেন, শাহজালালের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৩২), তার দুই মেয়ে মিম (৮) ও মাহি (৫) এবং চাচাতো বোন জামশেদা বেগম (২৫), জামশেদার স্বামী দেলোয়ার প্রধানিয়া (৩০) তাদের ছেলে জুনায়েদ (৮ মাস)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শাহজালালকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লঞ্চের পাখায় আঘাত লেগে তার দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।  

শাহজালাল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের জাফর মালের কান্দি গ্রামের মহসিন চোকদারের ছেলে। জামশেদা শাহজালালের চাচা কামাল চোকদারের মেয়ে। একই বাড়ি তাদের। জামশেদার স্বামী দেলায়ার প্রধানিয়া পার্শ্ববর্তী সাইফুল মাস্টারকান্দি গ্রামের গণি প্রধানিয়ার ছেলে। শাহজালাল ও দেলোয়ার পরিবার নিয়ে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে থাকতেন এবং দর্জির দোকানে কাজ করতেন। দেলোয়ার ও জামশেদার জাকিয়া নামে আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। জাকিয়া গ্রামের বাড়িতে দাদা-দাদির সঙ্গে থেকে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।  

জানা যায়, শুক্রবার (০৮ মার্চ) জামশেদার বোন খাদিজার বিয়ের দিন ছিলো। ওই বিয়েতে যোগ দিতে স্বামী-সন্তান ও চাচাতো ভাই শাহজালাল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বৃহস্পতিবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন জামশেদা। সদরঘাট থেকে লঞ্চে ওঠার জন্য একটি নৌকায় নদী পার হওয়ার সময় একটি লঞ্চের ধাক্কায় নিখোঁজ হন ওই ছয়জন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সর্বশেষ উদ্ধার হওয়া শাহিদা বেগমের মরদেহ দুই মেয়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। এনিয়ে নিহত ছয়জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা শরীয়তপুর জেলা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতার চেষ্টা করে যাবো। এছাড়া নিহত জামশেদার মেয়ে জাকিয়ার থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।